পঞ্চায়েত সমিতিতে আমন্ত্রণ করেও দেখা করার আগেই চলে গেলেন শ‍্যামলদা

2nd August 2021 10:58 pm বর্ধমান
পঞ্চায়েত সমিতিতে আমন্ত্রণ করেও দেখা করার আগেই চলে গেলেন শ‍্যামলদা


নীলাদ্রিশেখর সরকার ( বর্ধমান ) : " সময় করে একবার পঞ্চায়েত সমিতিতে এসো । বসে একটু কথা বলে ঠিক করে নেবো । কবে কোথায় যাওয়া হবে । কাকে বলে দেবো দেখি । " পঞ্চায়েত সমিতিতে আসার আমন্ত্রণ করেও আমার দেখা করার আগেই চলে গেলেন শ‍্যামল দা । শ‍্যামল দত্ত । বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা বর্ধমান ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি । ১৯৯৮ সাল থেকে দল তৈরী হবার পর প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন । সংগঠনকে একটু একটু করে শক্তিশালী করে মহীরুহে দাঁড় করিয়েছেন তিনি । সংবাদ কর্মী হিসাবে অনেকের মতোই হয়তো আমার সাথে শ‍্যামল দা 'র যোগাযোগ । তবে শক্তিগড়ে বর্ধমান টিভি 'র প্রথম অফিস করার পর যোগাযোগ টা একটু বেশীই হয় । তার আগেও অবশ‍্য শ‍্যামল দা'র সাথে একাধিকবার খবর সুত্রে যোগাযোগ হয়েছে নানা জায়গায় । বর্ধমান টিভি তৈরী হবার পর শ‍্যামল দা'র সাথে যোগসূত্র বাড়ে । বড়শুলে যেহেতু পঞ্চায়েত সমিতি দপ্তর তাই নানা প্রয়োজনে গিয়েওছি তাঁর কাছে । সব সময় সাড়া দিয়েছেন । হাত বাড়িয়েছেন । খবরের জন‍্য যখন যতবার ফোন করেছি উত্তর পেয়েছি । লাইভ নিউজে ফোন ইন বহুবার । ব‍্যস্ত থাকলেও পরে ফোন করেও জেনে নিয়েছেন কি কারনে আমি ফোন করেছিলাম । শ‍্যামল দা'কে ফোন করে কথা হয় নি এরকম কখনো হয় নি । মাঝে মধ‍্যে খবরের জন‍্য নিজেই উদ‍্যোগী হয়ে ছবি পাঠাতেন । " খবর টা করে দিও তো " বলে ফোনেও বলেছেন কতবার । অনেক দিনের যোগাযোগ ধীরে ধীরে পোক্ত হয়েছে । আমরা পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজের উপর স্পেশাল স্টোরি করবো বলে ভেবেছি । প্রাথমিক কথা বলেছিলাম শ‍্যামল দা'র সাথে । বলেছিলেন একবার সময় করে বড়শুলে পঞ্চায়েত সমিতিতে আসতে । কিন্তু শ‍্যামল দা 'র বোধহয় একটু বেশী তাড়া ছিল । দেখা করার সময় আর হলো না । শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে প্রথমে বর্ধমান পরে কলকাতার চিকিৎসাকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয় । সুস্থ হচ্ছিলেন বলেই খবর পাচ্ছিলাম । কিন্তু সোমবার সন্ধ‍্যায় ইতি ঘটে গেল । না ফেরার দেশে চলে গেলেন  সকলের " শ‍্যামল দা " ! রাজনীতিতে কতটা ক্ষতি হল তা ব্লকের বা জেলার কর্মীরা অনুভব করবেন । কিন্তু প্রশাসনে থাকা দক্ষ পরিচালক , একজন সুবক্তা অকালে চলে গেলেন তা হলফ করে বলা যায় ।  ভালো থাকবেন শ‍্যামল দা । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।